৩৬ জুলাই বিপ্লব ও নির্মম নির্যাতন সম্মুখীন হয়েও বেচে ফেরার বাস্তব চিত্র!
মো: মিজানুর রহমান দয়াল।
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সদ্যঘটিত জুলাই বিপ্লবকে কেন্দ্র করে এক ব্যতিক্রমী সাহিত্য-আয়োজনের আয়োজন করা হয়েছে। এ আয়োজনে কবিতা, প্রবন্ধ, বিশ্লেষণ ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হচ্ছে সেই ঐতিহাসিক আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি। আজ আমি আমার নিজের চোখে দেখা, হৃদয়ে ধারণ করা সেই দিনগুলোর কথা তুলে ধরছি—যা শুধু আন্দোলনের দিন নয়, বরং জাতীয় ছা এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সূচনা হয়। শুরুতে এটি ছিল নিছকই শিক্ষার্থীদের একটি ন্যায্য দাবি—অসাম্য ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ। কিন্তু সময়ের স্রোতে এই আন্দোলন রূপ নেয় সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের হৃদয়ের স্পন্দনে। অল্প সময়ের মধ্যেই এই দাবির আগুন ছড়িয়ে পড়ে খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশালসহ দেশের প্রতিটি বিভাগে।
ঢাকার রাস্তায় মিছিল, স্লোগান, ব্যানারে ভরে ওঠে প্রতিবাদের ভাষায়। শিক্ষার্থীরা বাংলা ব্লকেডসহ একের পর এক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হাতে নেয়। আন্দোলন ছিল অহিংস—কিন্তু ছিল দৃপ্ত এবং অবিচল। এ সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল পুরোপুরি একাত্মতা প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের সাথে। আমাদের অবস্থান ছিল স্পষ্ট—ন্যায়বিচারের পক্ষে, গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে।
কিন্তু ইতিহাসের অজানা বাঁকে,আমাদের এ-ই আন্দোলনের ব্যক্তিক্রমী এ-ই ৩৬ জুলাই নামটি দিয়েছিলেন তিনি (তাকেই ৩৬ জুলাই বিল্পবের প্রবক্তা বলা হয়)। আমাদের প্রান (প্রিয়, শামসুল আলম, Shamsul Alam) তিনি একমাত্র ব্যক্তি যে কিনা দীর্ঘ দেড়যুগ এ-ই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত নানান কৌশলে উপায়ে আমাদের অনুপ্রেরণা দিত।আমাকে টর্চার করে বারবার shamul alam, কিভাবে এতো ইনফরমেশন কানেকটেক থাকে কিভাবে আসলে এইসব বিষয় আমাকে ডিবি কার্যালয়ে সবচেয়ে বেসি জিজ্ঞেস করেছে!
(৩৬ জুলাই বিল্পবের সবচেয়ে বেসি অনুপ্রেরণা দেয় তার লেখা বাস্তব উপস্থাপনগুলো।
১৫ই জুলাই এক ভয়ংকর সহিংসতা সেই শান্ত আন্দোলনের রঙ বদলে দেয়। ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর। নারী-পুরুষ, ছাত্রী-ছাত্র কেউ রক্ষা পায়নি তাদের হামলায়। ওই দিন অন্তত চার থেকে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়, অনেকেই মারাত্মকভাবে।
সেই দিন আমি নিজ চোখে দেখেছি কীভাবে একটি যৌক্তিক আন্দোলনকে দমন করতে ব্যবহৃত হয় ভয়, ভীতি আর সহিংসতা। হৃদয় কেঁপে উঠেছিল—কিন্তু মন ছিল অবিচল, প্রতিবাদী।
সহযোদ্ধা থেকে সৈনিক হয়ে ওঠা: আমার আত্মনিবেদন
আমি ব্যক্তিগতভাবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এই ন্যায্য আন্দোলনকে প্রথম দিন থেকেই মনেপ্রাণে সমর্থন করে আসছিলাম। শুধু সমর্থনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিনি—আমি তাদের প্রতিটি কর্মসূচিতে সশরীরে উপস্থিত থেকে, একান্ত আপনজনের মতো পাশে দাঁড়িয়েছি। তীব্র রোদে যখন তাদের ঠোঁট শুকিয়ে যাচ্ছিল, আমি পৌঁছে দিয়েছি স্যালাইন আর ঠাণ্ডা পানি; ক্ষুধার্ত ছাত্রদের জন্য খাবারের প্যাকেট হাতে তুলে দিয়েছি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দিয়ে।
১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার পরদিন, ১৬ জুলাই, আমরা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, নয়াপল্টনে এক প্রতিবাদী মিছিলের আয়োজন করি। আমি নিজে আমার সহযোদ্ধা নেতাকর্মীদের নিয়ে সেই মিছিলে গর্জে উঠেছিলাম, বুকভরা ক্ষোভ আর চোখে প্রতিশোধের আগুন নিয়ে।
মিছিল শেষ হতেই খবর আসে—সাইন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা নিরীহ শিক্ষার্থীদের উপর হামলে পড়েছে।আর এক মুহূর্ত দেরি করিনি।ছুটে গিয়েছিলাম সেই রণক্ষেত্রে। আমি এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের ভাইয়েরা শিক্ষার্থীদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। বারবার আমাদের দিকে হাতবোমা ছোড়া হচ্ছিল, কিন্তু আমরা দমে যাইনি। পাঁচ মিনিটের ভেতরেই শিক্ষার্থীদের নিয়ে পাল্টা আক্রমণে যাই এবং তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ও ঢাকা কলেজের ভেতরে ঠেলে দিই।
সেই দিনে, আমাদের লড়াইয়ে সামনে ছিলেন গুলিবিদ্ধ সাহসী ছাত্রনেতা মোঃ মিল্লাদ হোসেন, ঢাকা কলেজের সদস্য সচিব। আহবায়ক :পিয়াল হাসান, ইমন ইমু,শামীম হাওলাদার,আবির,মামুন,মিঠু,রেজাউল,মনির হোসেন,জিয়া,মাহি,জীবন, সাজ্জাদ জেমিন, তানভীর মাতুব্বর,সহ আরো অনেক, জুলাইয়ের কারা নির্যাতিত ছাত্র নেতা আহবায়ক সদস্য রিফাত হোসেন,গুলিবিদ্ধ ইমরান হোসেন,মাহবুব শান্তসহ অর্ধশতাধিক সাহসী সহযোদ্ধা। আমাদের সম্মিলিত প্রতিরোধে তারা ক্যাম্পাসে ঢুকে পরে আর সাহস করেনি বের হওয়ার। অবশেষে,১৭ জুলাই ভোর হওয়ার আগেই তারা হল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিজিবি সদস্যরা নিউমার্কেটের দিক থেকে অগ্রসর হলে আমরা সাইন্সল্যাব এলাকা ত্যাগ করি। সারাদিন রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে ক্লান্ত শরীরটা নিয়ে বাসায় ফিরি। ফেসবুক খুলতেই চোখে পড়ে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য—দুহাত প্রসারিত এক তরুণ বুক পেতে দিয়েছে মুক্তির স্বপ্নে। দেখি, বীর চট্টগ্রামের সাহসী সন্তান ওয়াসিম আকরাম শহীদের তালিকায়! তাঁর ফেসবুক পোস্ট পড়ে মুহূর্তেই শরীরে আগুনের মতো রক্ত ধাবিত হতে থাকে। সে মুহূর্তে আমি আর বসে থাকতে পারিনি—আবার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করি। ১৭ তারিখের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকি
সেদিন ছিল বুধবার।
আমরা গায়ে বাঁধা জানাজার জন্য কফিন হাতে দাঁড়িয়েছিলাম—প্রতীকী প্রতিবাদ, কিন্তু এর বার্তা ছিল বজ্রের মতো! ঠিক সেই মুহূর্তে পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়ল আমাদের ওপর। মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট আর বিকট সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত হয় এক রণক্ষেত্রে। ছাত্রদের সাথে নিয়ে আমি কিছুক্ষণ প্রতিরোধ করি, তারপর আত্মরক্ষার্থে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে ঢাকা মেডিকেলে আশ্রয় নিই। আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও নিরাপদ ছিলাম না—পুলিশ সেখানেও ঢুকে পড়লে আমি বকশিবাজার হয়ে লালবাগের দিকে সরে যাই এবং রাতে এক বন্ধুর বাসায় আশ্রয় নিই।
নির্যাতন থেকে মুক্তি পর্যন্ত: এক বিপ্লবীর সকল যোগাযোগহীনতার পরেও তার আত্মকথা।
১৮ জুলাই—এই দিনটি ছিল শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের জন্য এক দুঃস্বপ্নের দিন। সেতু ভবন, যাকে তারা তাদের ‘উন্নয়নের বাতিঘর’ বলে অভিহিত করে, সেই ভবনকে বিক্ষুব্ধ জনতা আগুনে ভস্মীভূত করে দেয়।
১৮ জুলাই দুপুরের দিকে ধানমণ্ডি ২৭ নাম্বার থেকে মিনা বাজারের সামনে আবারও জড় হতে থাকে আন্দোলনকারীরা সেখানে আমি আমার ছোটভাই,হাবিবুর রহমান হাবিব,ছোররাগুলিতে আহত,আশরফ(আহত)সোহানুর রহমান মিঠু সহ আরো কিছু ছোট ভাই সহ সেখানে প্রতিরোধ করতে চেস্টা করি।
এরপর
মেট্রোরেল সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।আমি মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় (যদি ও আমার বাসা দীর্ঘ সময় ধরে ধানমণ্ডি তেই)তবুও ওইখানে ও একটা ভাড়া বাসা ছিল।১৮ তারিখ সকালে ছাত্রজনতা রাস্তায় অবস্থান নিলে আমি তাদের সঙ্গে যোগ দিই। আমরা অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু পুলিশ চাইনিজ রাইফেল থেকে সরাসরি গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আমি ফোন করলাম আমাদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক
আমান উল্লাহ আমান ভাইকে।
ভাই বললেন, “সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। পিছিয়ে আসার আর কোনো রাস্তা নেই। যেভাবে পারো, প্রতিরোধ গড়ে তোলো—রাজপথ ছাড়া যাবে না।”
এই কথাগুলো যেন আমার হৃদয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিল। ঠিক তখনই আমার সামনে ১০-১১ বছরের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে। রক্তে ভিজে যাচ্ছিল পিচঢালা রাস্তা। আমরা তাকে রিকশায় করে হাসপাতালে পাঠালেও সে পথেই প্রাণ হারায়। বুকের মধ্যে শূন্যতা নেমে আসে, কিন্তু পিছু হটিনি।
আমি আবার সংগঠনের ভাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেস্টা করি,কিন্তু নেট অফ তারপর ফোন সাথে থাকা ও বিপদজনক, বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
তবুও কিছু মানুষের সাথে এ-র ভেতর বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন আহমেদ অসীম
ভাই বললেন, “প্রতিহত করো, ধরে রাখো, নেতৃত্ব দাও।”
এরপর ৩৬ জুলাই নামের প্রবক্তা প্রিয় Shams
আমি সামনের দিকে এগিয়ে যাই। ফুটপাতের ভাসমান দোকানের টিন দিয়ে ঢাল বানাই, রাস্তার লোহার পাইপ ভেঙে লাঠি তৈরি করি। হাজারো জনতাকে একত্রিত করে সামনে দাঁড়িয়ে যাই। সেদিন আমিই ছিলাম মোহামমদপুর বসিলায় ছাত্রদল এবং বিএনপির একমাত্র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি ছিলাম সম্ভবত (যা মামলার রিমান্ড শুনানিতে উল্লেখ আছে) তাই নেতৃত্বের দায়িত্বটা বুক ভরে গ্রহণ করি। সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত যুদ্ধ চলে। পুলিশের গুলিতে শতাধিক মানুষ আহত হয়, প্রাণ যায় অনেকের।আমি নিজেও সামান্য আহত হয়ে ছোটভাইদের অনেক এ-র পরিস্থিতি আরো নাজুক।তবুও অবিরাম ছুটেছি।
ঘরে ফিরে শুয়ে পড়ি পরের দিনের পরিকল্পনা নিয়ে ভাবতে ভাবতে। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, জানি না।
হঠাৎ রাত ৪:৩০-এ ঘুম ভেঙে যায়।নিচে মানুষের কণ্ঠস্বর, জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি—ডিবি পুলিশের পাঁচটি গাড়ি দাঁড়িয়ে,আমার বাসা ঘিরে রেখেছে।কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা দরজায় ধাক্কা দেয়। আমি না খুললে তারা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ই প্রথম এ তাদের শর্টগান দিয়ে আমাকে বুকে ঠেকিয়ে মোটামুটি উত্তম মাধ্যম দিয়ে এরপর রেডি করে নিচে নামাচ্ছে আর বলতেছে এটাই শেষ সময় তোর।এরপর চোখে কাপর বেধে মাইক্রোতে তুলে অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি জমালো।দীর্ঘ দুই ঘন্টা র বেসি হবে আমাকে বেড়িবাঁধ এ-র রাস্তায় রাস্তায় গুরাচ্ছে আর নানান বিষয় জিগ্যেস করতেছে। আর যতটা একটা মানুষ কে জীবিত রেখে ও মৃত্যু যন্ত্রণা দেওয়া যায় তাই দিয়েছে। তবুও চুপ ছিলাম।
একজন এসআই চিৎকার করে বলল, “তোরে খুইজা বাইর করতে অনেক কষ্ট হইছে। জ্বালাইয়া দিছোস দেশটা—এবার বুঝবি মজা!”
এরপর
ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে হারুন আংকেল নিজেই কিছু সময় আমাকে নিয়ে ফুটবল খেলে এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অন্যদের কাছে রেখে যায়।যে নির্যাতনে আমার হাত-পা বেঁধে নিতম্ব ও পিঠে চলতে থাকে নির্যাতনের বীভৎসতা। ২১ জুলাই আমাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। অর্থাৎ, ১৯ ও ২০ জুলাই আমাকে গুম করে রাখা হয়েছিল। আর বিশেষ করে অসীম ভাই, Nasir Uddin Ahmed Ashim ভাই।
মোঃ আমানউল্লাহ আমান. ভাইয়ের নাম্বার তাকে ডেকে আনতে বলা,এরপর আমান ভাই আগের দিন আমার বাসায় এসে নাকি পুরো পরিকল্পনা আমাকে দিয়ে গিয়েছিল কিভাবে এ-ই মোহাম্মদপুর সহ অত্র এলাকাকে অচল করে দিতে হবে সেই পরিকল্পনা স্বীকার করতে বলা(অবশ্য এখানে একটা জিনিস আমার যদিও ও-ই সময় টাতে হাসার সময় কই কিন্তু তবুও যাই জিগ্যেস করুক স্বীকার করলে ও মাইর ফ্রী আর না করলে ও মাইর ফ্রীকতটা অসহায় আর নির্মমতার গল্প সেটা ) ইত্যাদি ইত্যাদি। ফোনে যাদের সাথে কথা হয়েছে, সবার তথ্য চাওয়া কি কথা হয়েছে কে কোথায় আছে এমন হাজার কথা । দিনে ৪-৫ বার জেরা, আর প্রতিবারই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ।
এরপর
হঠাৎ করে ই বাংলাদেশের জার্সি পরিহিত ১৬/১৭ বছরের একটা বাচ্চা ছেলেকে এনে আমাদের রুমে রেখে যায়,ওর মলিন মুখ আমার হৃদয় হাহাকার করে উঠে কাছে গেলাম কথা বললাম, ছেলে টা মাত্র ঢাকা কলেজ এ এইসএসসি তে ভর্তি হয়েছে ওরে যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ হত্যা মামলায় তুলে এনেছে। শুনে বুকটা হাহাকার করে উঠে এরপর ওরে নিজের কষ্ট ভুলে গিয়ে পরম যত্নে খাওয়া দাওয়া এরপর গোসল করানো, নিজের পায়ের উপর রেখে জোর করে ঘুম পারানো,যতটা সম্ভব ওরে স্বাভাবিক রাখতে চেস্টা করেছি অবশ্য ও নিজেই অধম্য সাহসী একটা ছেলে। ও অবশ্য আমাদের কথিত মিডিয়ায় ভাইরাল।নাম। Hasnatul Islam Faiyaz মিডিয়াতে ওর বেস পরিচিতি।
যদি ও আমাদের আন্দোলনের জীবন বাজি রেখে আন্দোলনকে বেগবান করতে দিনরাত চেস্টা করার কথা( গ্রেফতার হওয়ার আগ অবধি) এরপরের নির্যাতনের সেই ভয়াবহ সময়ের কথা লেখা র মতো শোনার মতো মিডিয়া খুব একটা দেখিনা বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি কখন কিভাবে যে লেখা হয়।।
মিডিয়ার কাছে প্রচার হতে হলে হতে হবে আলোচিত বা কোনভাবে সেটা কে জানান দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারলে যাইহোক,এটা আলোচনা বিষয় এখানে না
সেটা একটা ভিন্ন বিষয়।
রিমান্ডের ৭ দিন ডিবি হেফাজতে থাকা অবস্থায় চোখ বেঁধে,হাত বেঁধে,ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে লাথি মারা হয়আর আমান উল্লাহ আমান ভাই কে কল দিয়ে আনতে বলা হয়,সে কোথায় আছে এ-ই বিষয় বারবার জিজ্ঞাবাদ আর নির্যাতন। এরপর অসীম ভাই এ-র কি নির্দেশনা ছিল কিন্তু তখন ই সে দেশে এসে ডিবি র দ্বারা তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়ে —প্রতিবার যেন ফুটবলের মতো ফ্রি কিক দেওয়া হতো। কোমরে ৩০-৪০টি লাথির ঘা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি। আমার কোমর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এখনো থেরাপি নিতে হচ্ছে।
বারবার আমাকে টর্চার করেছে।
এরপর ও আমি আবারও মনোযোগ দিয়ে আমার চেস্টা টুকু করেছি।
কিন্তু এরপর!
পরবর্তীতে আমাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।অবশ্য কেন্দ্রীয় কারাগারে আমার একমাত্র অদৃশ্য ছায়ার স্নেহ মমতাতে আমি অনেক টাই স্বস্থি অনুভব করেছি। আমি কিছু নিরবে সুন্দর সময় কাটিয়েছি।
সেখানে বন্দিজীবনের প্রতিটি দিন ছিল এক দুঃস্বপ্ন। অবশেষে,গণবিপ্লবে শেখ হাসিনার পতনের পর,৬ আগস্ট রাতে আমি কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে।আবার চিরচেনা সেই রাজপথেই ফিরেছি।
তবে শেষ একটা কথা।
আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা ঠিকই আছে।এখানে সমাজ সংস্কারক এ-র মতো উদাহরণ হয়ে আবির্ভাব হওয়া যায়।
কিন্তু কতিপয় রাজনীতি করা নামধারী অসভ্য মানুষের দ্বারা এইসব নোংরা রাজনীতি হচ্ছে। কিন্তু ইনশাআল্লাহ এগুলো ও ঠিক হয়ে যাবে।তাই যারা আমরা সত্তিকার জুলাই বিল্পবের আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা রেখেছি।আমাদের একে অপরের সাথে একতা হয়ে কাজ করতে হবে।জেন অসাধু মানুষেরা আমাদের এ-ই ত্যাগ বিপ্লব কে তাদের ব্যবহার এ-র হাতিয়ার না করতে পারে।আমরা প্রচারবিমুখ বলে এইভেবোনা আমারা দুর্বল! এটুকু ই জেনে রেখে জুলাই বিল্পবের সময় যেমন নিজের জীবন বাজি রেখেছি।তেমন করে তোমাদের সকল অসত্য আর বানানো গল্প,স্টোকহোল্ডার হওয়ার গল্প দু:স্বপ্ন করে দিব।
ইনশাআল্লাহ বিজয়ের শেষ হাসি আমরা ই হাসবো।
ইনশাআল্লাহ ।
দল যদি তরুণ নেতৃত্ব কে গ্রহণ করে। আর সকল পর্যায়ে র নেতা কর্মিদের সাথে যোগাযোগ যে কোন দরকার এ এলাকায় উন্নয়ন মুলক কাজ তরুণ নেতৃত্ব তৈরি করতে কাজ করা খেলা দুলায় অবধান রাখতে ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এলাকায়। সেখানে বরিশাল_৩,নির্বচনী আসন মুলাদী বাবুগঞ্জ আসনে বিএনপি র দলীয় প্রার্থী প্রবীণ নেতৃত্ব এডভোকেট জয়নুল আবেদীন এ-র পাশাপাশি এলাকায় তরুণদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয় ছাত্রনেতা হিসেবে রয়েছে দয়াল মিজান এ-র ব্যাপক জনপ্রিয়তা।সেখানে দলযদি আগামী সংসদ নির্বাচন এ তরুণ নেতৃত্ব কে সামনের সাড়িতে তুলে আনে। আগামী সংসদ নির্বাচনে রয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা বারবার কারাবরনকারী,জুলাই বিপ্লবের অন্যতম যোদ্ধা জনপ্রিয় ছাত্রনেতা। মিজানুর রহমান দয়াল। সেক্ষেত্রে তরুণদের কাছে ব্যপক এগিয়ে থাকবেন তিনি। রয়েছে এলাকায় তুমুল জনপ্রিয়তা।পাশাপাশি এ-ই ছাত্রনেতা র গ্রামের বাড়ি একেবারে ই দুটো জেলার।বরিশাল জেলার মুলাদীর একেবারেই শেষ প্রান্তে আর শরীয়তপুরজেলার গোসাইরহাট এ-র প্রথম দিকেই।তাই তার ত শৈশব থেকে ই শরীয়তপুর জেলার। গোসাইরহাট উপজেলাতেই তার বেড়ে ওঠা সেখানে গোসাইরহাট উপজেলাতে প্রতিটি ওয়ার্ড ইউনিয়ন এ রয়েছে তার ব্যপক অবস্থান।
আর শরীয়তপুর নির্বাচনী আসন ৩।যেখানে একাদিক প্রার্থী থাকলে ও মিয়া নুরুদ্দিন অপু ভাই আগের বার এখান থেকে নির্বাচন করেছিলেন বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে। এবার ও তিনি এগিয়ে আছেন দলীয় নমিনেশন এ।আরো প্রত্যাশা করেন। আরজ্ঞজেবের ওয়াইফ এরপর সাইদ আসলাম,মিন্টু সরদার। এদের পাশাপাশি গোসাইরহাট -ডামুড্যা উপজেলা নিয়ে শরীয়তপুর ৩ আসনে ও রয়েছে দয়াল মিজান এ-র ব্যবক জনপ্রিয়তা।যা এ-ই গত দুই ঈদের সময় গরিব দুখি সহ দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য কাজ করা।এরপর দলের যে কোন নেতা কর্মী ঢাকায় এসে তার কাছে যে কোন বিষয় নিয়ে সাপোর্ট চেয়ে পায়নি এমন নজির নেই।সেখানে ছাত্রদল এ-র তরুণ নেতৃত্ব হিসেবে এলাকার মানুষের কাছে তার গ্রহনযোগ্য তাও অনেক গ্রামের মানুষের দলের কাছে এমন ছাত্রনেতা র নেতৃত্ব প্রত্যাশা করে। সেক্ষেত্রে তরুণ হওয়ার পরে ও দলের নমিনেশন এ-র বিষয় এ-ই তরুণ নেতার সঙ্গে ছাত্র রাজনীতি করা ছাত্রনেতাদের প্রত্যাশা দল তার বিষয় পজিটিভ করে কিছু ভাবুক।নতুনদের কাজ করার সুজুগ করে দিক।