*প্রবাসী দুই ভাইয়ের অর্থ আত্মসাৎ ও জমি জালিয়াতি বড় ভাই রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ*

নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার দেউটি ইউনিয়নের নান্দিয়াপাড়া বাজারে প্রবাসী দুই ভাই আকরাম হোসেন ও আমজাদ হোসেন তাদের বড় ভাই আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও জমি জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী ছোট ভাই আমজাদ হোসেন জানান, ২০১২ সাল থেকে আমেরিকায় প্রবাসী অবস্থায় তিনি ও তার মেঝ ভাই তাদের উপার্জিত অর্থ বড় ভাই আব্দুর রহমানের মাধ্যমে দেশে পাঠিয়ে আসছিলেন। এই অর্থ দিয়ে ঢাকায় একটি জমি ক্রয় করা হয়, যার মূল্য ছিল ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

তবে, জমির ক্রয় ও অন্যান্য সম্পত্তির বিষয়ে তাদের অংশীদারিত্ব উপেক্ষা করে বড় ভাই আব্দুর রহমান একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এতে প্রবাসী দুই ভাই ও তাদের পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

পারিবারিক অশান্তি ও সাংবাদিকদের ভূমিকা: অভিযোগের পর ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেন স্থানীয় সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে বিষয়টি অবহিত করেন। কতিপয় কিছু সাংবাদিক গিয়ে আমজাদ হোসেনের নিকট মোটা অংকের টাকা দাবি করেন, যা তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়ে বড় ভাই আব্দুর রহমানকে দিয়ে দোকান খুলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

এই ঘটনায় পারিবারিকভাবে আরো অশান্তি ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ উঠেছে যে, কিছু সাংবাদিক বড় ভাই রহমানের থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে তার পক্ষে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা আমজাদ হোসেনের জন্য হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি:
ভুক্তভোগী প্রবাসী ও তাদের পরিবার স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা আশা করছেন, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ধরনের অভিযোগ প্রবাসীদের মধ্যে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা নতুন নয়। প্রবাসীরা তাদের উপার্জিত অর্থ পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে দেশে পাঠালেও অনেক সময় সেই অর্থের সঠিক ব্যবহার নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। এতে প্রবাসীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই ধরনের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। ও যারা সত্য উদঘাটন না করে ন্যায়ের পক্ষে কাজ না করে। অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় আশ্রয় দেওয়া কতিপয় সংবাদ এদেরকেও বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন মনে করি ।