জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে মাস্টারোলে চাকরির আড়ালে কোটি টাকার দুর্নীতি!
স্টাফ রির্পোটার:
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে মাস্টারোলে চাকরির সুযোগ পেয়ে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন মামুন নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ উঠেছে, মুক্তিযোদ্ধা সনদের প্রত্যয়নপত্র বাণিজ্যের মাধ্যমে তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
জানা যায়, ২০১২ সালে তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিবের পরিচিত হওয়ায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে মাস্টারোলে চাকরিতে যোগদান করেন মামুন। তবে চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হয়ে যান।
খবর নিয়ে জানা যায়, মামুন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রত্যয়নপত্র সরবরাহ করতেন। সচিবের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি এই অনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, মামুনের পারিবারিক আর্থিক অবস্থা এক সময় তেমন ভালো ছিল না। তার বাবা বাজারে ঘুরে ঘুরে পান বিক্রি করতেন। তবে মামুন চাকরিতে যোগদানের পর যেন হঠাৎ আকাশের চাঁদ হাতে পেয়ে যান । বছর দুয়েক আগে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি বাজারে তিনি কোটি টাকা মূল্যের একটি পুরো মার্কেট ক্রয় করেন। এছাড়া নিজ এলাকায় এই আওয়ামী দোসর নামে-বেনামে অনেক জমিজমা করেন ও বেশ কয়েকটি জমি কিনেছেন বলে জানা গেছে।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে এখনো কর্মরত থাকা মামুনের বিরুদ্ধে বেপরোয়া দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও, এ বিষয়ে এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ ধরনের দুর্নীতি মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত তদন্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এই ব্যাপারে মামুনের সাথে মুঠোফোনে না ধরে WhatsApp callদেয় অভিযোগে বিষয় জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন যদি আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার হলে ।আমি মামলা করব। বলে ধমক দিয়ে লাইন কেটে দেয়। পুনরায় কল দিলে তিনি কেটে দেয় ।