আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ প্রতিনিধি:
নানা জটিলতার কারণে প্রায় এক বছর পর নওগাঁর রাণীনগরের কুজাইল হাটে সরকারি দোতলা পল্লী মার্কেট ভবন নির্মাণের জায়গা থেকে দিনব্যাপী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম চালানো হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন, উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন, কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান বাবু, স্থানীয় ইউপি সদস্য, কুজাইল হাট বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
একটু দেরি হলেও বিভিন্ন বাধা উপেক্ষা করে উপজেলা প্রশাসনের প্রচেস্টায় ভবন নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ শুরু করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। অনেকেই ভেবেছিলো আর কখনোই হয়তোবা ভবন নির্মাণ হবে না। অবশেষে আধুনিকমানের হাটের ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করায় হাটের দোকানীরা সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে। তবে কাজের গুনগত মান বজায় রেখে দ্রæতই যেন ভবন নির্মাণ শেষে সুবিধাভোগীদের হাতে দোকান ঘর হস্তান্তর করা হয় সেই বিষয়ে সুদৃষ্টি দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয়রা।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী কুজাইল হাটে ১২হাজার ৬শত বর্গ ফুট জায়গায় চারতলা ভিতের উপর দোতলা পল্লী মার্কেট ভবন নির্মাণ কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। নিচতলায় কাঁচা বাজার এবং উপর তলায় ২৪টি দোকান ঘর নির্মাণ হবে। যার প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয় ৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ইতিমধ্যেই দরপত্রের মাধ্যমে মেসার্স সাহারা কনস্ট্রাকশন-ইএসবি নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পেয়েছে। ভবনের নির্মাণ কাজটি গত বছরের ১৯মে শুরু হয়ে ২০২৫সালের ৩০আগষ্ট শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু স্থানীয়দের নানা জটিলতার কারণে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুনিরুজ্জামান জানান জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক মাস আগে হাটের সরকারি জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য দখলদারদেরকে নোটিশ প্রদান করা হয়। সেই নোটিশের প্রেক্ষিতে সোমবার দিনব্যাপী এই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। যারা তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি উচ্ছেদের পর সেই মালামালগুলো বাজেয়াপ্ত করে পরে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী মো: ইসমাইল হোসেন জানান স্থাপনা উচ্ছেদ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ভবন নির্মাণের জায়গাটি ফাঁকা করতে গিয়ে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। দ্রæতই উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষে ভবন নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ শুরু করা হবে। সবার সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করার চেস্টা করবো।
এম শাহ হোসাইন
মিসেস মাহিয়া মাহি রিমা
01767478968
All rights reserved © 2025