ঢাকাThursday , 20 February 2025
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. বিনোদন
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আউটসোর্সিং নেতাদের।

admin
February 20, 2025 10:18 am
Link Copied!

  1. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আউটসোর্সিং নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগ

বকেয়া বেতন পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আউটসোর্সিং নেতাদের বিরুদ্ধে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। জানা যায়, যখনই বেতন আটকে যায় তখনই তারা এই চাঁদাবাজি শুরু করেন। কর্মরত সকলে বকেয়া বেতন পাওয়ার আশায় নেতাদের টাকা দিতে বাধ্য হন।

একইসাথে দীর্ঘ দিন যাবত আউটসোর্সিংয়ের অফিস সহায়ক কর্মচারীরা চাকরি রাজস্বকরণের দাবিতেও আন্দোলন করছিলেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সমিতির নেতারা ২০১৭ সাল থেকে চাকরি রাজস্বকরণের মামলা পরিচালনার নামে ধাপে ধাপে ৭ কোটিরও বেশি টাকা হাতিয়ে নেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জন সংবাদ’কে বলেন, যখনই আমাদের বেতন আটকে যায় তখনই সমিতির নেতারা চাঁদা নির্ধারণ করে দেয়। নির্ধারিত চাঁদা আমরা ‍জেলা কমিটির কাছে জমা দিতে বাধ্য হই। এভাবেই আমরা ২০১৭ সাল থেকে বেতন ও চাকরি রাজস্বকরণের জন্য টাকা দিয়ে আসছি। তিনি আরও বলেন, রাজস্বকরণের আশায় আমি ও আমার সহকর্মীরা প্রত্যেকে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা করে দিই কিন্তু এখনও আমাদের চাকরি রাজস্বকরণ হয়নি। নেতারা এখনও বারবার আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন।

কর্মচারীদের এই অসহায়ত্বের সুযোগ নেন সমিতির সভাপতি রাজা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল। অভিযুক্ত রাজা মিয়া মেহেরপুর সদর, সাজ্জাদ সিরাজগঞ্জ সদর ও মুকুল নাটোর বড়াইগ্রাম উপজেলায় অফিস সহায়ক পদে কর্মরত রয়েছেন। তারা বেশিরভাগ সময় কর্মস্থলে উপস্থিত না থেকে ঢাকায় অবস্থান করেন এবং কর্মচারীদের কাছ থেকে ঢাকায় বসে চাঁদা সংগ্রহ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘদিন যাবত মামলার খরচের কথা বলে ধাপে ধাপে সমিতির নেতারা ৪৮৪ জনের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছেন। চাঁদাবাজির টাকায় আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন।

বিষয়টি এখন ব্যাপক আলোচনা এবং প্রতিবাদের সৃষ্টি করেছে, এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে, ভবিষ্যতে এমন প্রতারণা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, যা পুরো সমাজের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।