বিশেষ প্রতিনিধি:
বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিনিয়োগকারীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মনে করছেন, জাতীয় অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই বাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে নতুন যোগ্য নেতৃত্বের প্রয়োজন।
অনলাইন জরিপে লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলামের প্রতি বিনিয়োগকারীদের সমর্থন
সাম্প্রতিক একটি অনলাইন জরিপে অংশগ্রহণকারী সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ৫৭% মত দিয়েছেন যে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম বিএসইসি চেয়ারম্যান হিসেবে সবচেয়ে উপযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তাঁর দীর্ঘদিনের শেয়ারবাজার অভিজ্ঞতা, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার ভূমিকা এবং বাজার বিশ্লেষণে দক্ষতা তাঁকে এই সমর্থন এনে দিয়েছে।
খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ২০২৪ সালের আগস্টে বিএসইসি চেয়ারম্যান পদে যোগদান করেন। তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক প্রায় ৬১০ পয়েন্ট কমেছে। এছাড়াও, বাজারে কারসাজি, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বল ভূমিকা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, এসজিপি, বিজিবিএম, ইনফ্যান্ট্রি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। তিনি কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেছেন এবং ছাত্র জীবনে শিক্ষা বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান অর্জন করেছেন। তিনি অর্থনীতি, ব্যবসা প্রশাসন (এমবিএ), ইতিহাস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা সহ চারটি বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-তে এমফিল/পিএইচডি করছেন। বিগত ১৬ বছর ধরে তিনি বিনিয়োগকারীদের পাশে থেকে গঠনমূলক পরামর্শ দিয়ে আসছেন এবং শেয়ারবাজারের বিভিন্ন ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
বিনিয়োগকারীদের দাবি:-
বিনিয়োগকারীরা মনে করেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএসইসি আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে। তাঁর নেতৃত্বে বাজারে স্বচ্ছতা, স্থিতিশীলতা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে আশা করছেন তারা। তাই, তারা সরকারের কাছে লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলামকে বিএসইসি চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ৩ মে ২০২৫ তারিখে অনলাইনে ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে ১৬ ঘণ্টায় অনুষ্ঠিত এই ভোটে তিনি ৫৭% বিনিয়োগকারীর আস্থা অর্জন করেছেন, যেখানে নিকটতম অন্যজন পেয়েছেন ১৭%। এই পরিস্থিতিতে, সরকারের উচিত বিনিয়োগকারীদের মতামত বিবেচনা করে শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলামের মতো অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যক্তিকে নেতৃত্বে আনা এই সংকট উত্তরণে সহায়ক হতে পারে।