সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা বাইপাস মহাসড়কের পাশে পূর্বাচলের এ নবনির্মিত অবকাঠামোটিতে সর্বমোট বরাদ্দকৃত জমির পরিমাণ ২৬.১০ একর। সেন্টারের মোট ফ্লোরের স্পেস ৩৩ হাজার বর্গমিটার, এক্সিবিশন ভবনের মোট ফ্লোর স্পেস ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার এবং এক্সিবিশন হলের মোট আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার। ভবনটিতে পার্কিংয়ের জন্য দোতলার স্পেস ৭ হাজার ৯১২ বর্গমিটার, যেখানে একসঙ্গে প্রায় ৫০০টি গাড়ি এবং ভবনটির সামনের জায়গাটিতে প্রায় ১০০০ গাড়ি পার্কিং করার সুযোগ থাকবে। তাছাড়া এক্সিবিশন হলে ৯.৬৭ বর্গমিটার করে ৮০০টি স্টল থাকবে, যেখানে দেশি-বিদেশি পণ্যের এক্সিবিশন চলবে। এ ছাড়া রয়েছে ৪৭৩ আসনবিশিষ্ট একটি মাল্টি ফাংশনাল হল, ৫০ আসনবিশিষ্ট কনফারেন্স রুম, ৬টি মিটিং রুম, ৫০০ আসনবিশিষ্ট ক্যাফেটেরিয়া বা ফুড কোর্ট, নামাজের স্পেস, দুটি অফিস রুম, মেডিকেল বুথ, গেস্ট রুম, নিজস্ব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, স্টোর রুম, সেন্ট্রাল এসি, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং অটোমেটিক গেট। আবার এমন দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা বাইরে থেকে দেখতে অত্যন্ত সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর হিসাবে দর্শনার্থীদের আগ্রহ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিগত সময়ে দর্শনার্থী কম থাকলেও বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন ঘুরতে আসে এখানে। পাশের পিতলগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা দেওয়ান আল মেহেদী বলেন, যেহেতু এটা স্থায়ী প্যাভিলিয়ন, তাই সারা বছর দর্শনার্থীদের ঘুরে দেখার সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। খিলক্ষেত থেকে ঘুরতে এসেছেন হাফিজুর রহমান বলেন, অনুরোধ করেও ভেতরে ঢুকতে পারিনি।
মধুখালী এলাকার বাসিন্দা মাহবুব আলম প্রিয় বলেন, ১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলা উদ্বোধনের ঘোষণা দিলেও রাজধানী থেকে যাতায়াতের জন্য একমাত্র ৩শ ফুট সড়ক দিয়ে যাতায়াতে অসুবিধায় পড়তে হবে। কারণ এখনো ওই সড়কটির কাজ চলমান। তা আগামী বছরেও শেষ হবে না। এ ছাড়া ঢাকা-বাইপাস সড়কের ৪ লেনে উন্নীতকরণও চলছে একই সময়ে। ফলে যাতায়াত ভোগান্তি থেকে যাবে। তাই কর্তৃপক্ষের এদিকে নজর দাবি করেন তিনি।