আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দিয়েছেন সরকারি চাকরিরত সচিব মো. খায়রুল ইসলাম (মান্নান)। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সদস্য হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে খায়রুল ইসলামকে দীর্ঘ সময় দেখা যায়।
খায়রুল ইসলাম লেখাপড়া করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্রজীবনের তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। চাকরি জীবনে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী এপিএস-১ এর দায়িত্বে ছিলেন।
এই বিষয়ে তিনি কালবেলাকে বলেন, আমি ছাত্রজীবনে দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলাম, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রায় চার বছর সহকারী একান্ত সচিব ছিলাম, প্রধানমন্ত্রীর এপিএস পদ অনেকটাই রাজনৈতিক পদ। বঙ্গবন্ধু এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের অনুসারী।
তিনি বলেন, ছুটির দিন, বন্ধু নাঈমুজ্জামান মুক্তার সাথে সমাবেশ স্থলে গিয়েছি। এটা চাকরি বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে বলে আমি মনে করি না।
এবিষয়ে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার জনসংবাদকে বলেন, সরকারি চাকরিরত অবস্থায় কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীর রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে যোগদান করতে পারেন না। সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী রাজনৈতিক সমাবেশে যোগদানের কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে কেউ সরকারি চাকরিরত অবস্থায় রাজনৈতিক সমাবেশে হোক সেটি ক্ষমতাসীন দল বা বিরোধীদলের তাতে যোগদান এবং বক্তব্য প্রদান করলে চাকরি বিধি অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এ সমাবেশের আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ দুপুর ২টায় শুরু হয়। এর আগে সমাবেশ মঞ্চে দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা নিয়ে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। লোকসংগীতশিল্পী প্রীতি সরকারের জয় বাংলা গান দিয়ে শুরু করেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মীর্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।