• ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিনমাস পর পূর্বাচলেই হবে বানিজ্য মেলা

জয়নাল আবেদীন জয়
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১, ১৭:০৪ অপরাহ্ণ
তিনমাস পর পূর্বাচলেই হবে বানিজ্য মেলা
অপেক্ষার প্রহর শেষে করোনা মহামারি পরিস্থিতি থেকে পরিবেশ স্বাভাবিক হলে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি শুরু হবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। এ মেলার স্থায়ী প্যাভিলিয়ন প্রস্তুত রয়েছে রাজউকের নতুন শহর প্রকল্পের পূর্বাচলের ৪নং সেক্টরে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ এবং চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন নামে এ স্থায়ী প্যাভিলিয়ন দেখতে প্রতিদিন জড়ো হয় হাজারো দর্শনার্থী। তবে উদ্বোধন না করায় এর ভেতরে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন না সাধারণ লোকজন। এদিকে এশিয়ান বাইপাস ৪ লেনে উন্নীতকরণ আর ৩শ ফুট সড়ক উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় বাণিজ্য মেলা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা পোহাবেন যাতায়াত ভোগান্তি। সূত্র জানায়, দৃষ্টিনন্দন এ সেন্টারটি বাংলাদেশ এবং চীনের যৌথ অর্থায়নে চীনের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ‘চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন’ নির্মাণ করে। যার অবকাঠামোগত সব কাজ গত বছরের ৩০ নভেম্বর সম্পন্ন হয়েছে। তবে স্থানীয় দর্শনার্থীদের ভেতরে প্রবেশ করে প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখার ইচ্ছা থাকলেও নিরাপত্তার অজুহাত ও উদ্বোধন না করায় আপাতত কোনো সুযোগ পাচ্ছেন না দর্শনার্থীরা। এমনটাই মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) এএইচএম আহসান। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমরা প্রাথমিকভাবে অনুমোদন পেয়েছি। আশা করা যায়, আগামী বছর ১ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে। কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির প্রকোপের ওপর বাণিজ্য মেলার সময়কাল নির্ভর করবে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা বাইপাস মহাসড়কের পাশে পূর্বাচলের এ নবনির্মিত অবকাঠামোটিতে সর্বমোট বরাদ্দকৃত জমির পরিমাণ ২৬.১০ একর। সেন্টারের মোট ফ্লোরের স্পেস ৩৩ হাজার বর্গমিটার, এক্সিবিশন ভবনের মোট ফ্লোর স্পেস ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার এবং এক্সিবিশন হলের মোট আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার। ভবনটিতে পার্কিংয়ের জন্য দোতলার স্পেস ৭ হাজার ৯১২ বর্গমিটার, যেখানে একসঙ্গে প্রায় ৫০০টি গাড়ি এবং ভবনটির সামনের জায়গাটিতে প্রায় ১০০০ গাড়ি পার্কিং করার সুযোগ থাকবে। তাছাড়া এক্সিবিশন হলে ৯.৬৭ বর্গমিটার করে ৮০০টি স্টল থাকবে, যেখানে দেশি-বিদেশি পণ্যের এক্সিবিশন চলবে। এ ছাড়া রয়েছে ৪৭৩ আসনবিশিষ্ট একটি মাল্টি ফাংশনাল হল, ৫০ আসনবিশিষ্ট কনফারেন্স রুম, ৬টি মিটিং রুম, ৫০০ আসনবিশিষ্ট ক্যাফেটেরিয়া বা ফুড কোর্ট, নামাজের স্পেস, দুটি অফিস রুম, মেডিকেল বুথ, গেস্ট রুম, নিজস্ব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, স্টোর রুম, সেন্ট্রাল এসি, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং অটোমেটিক গেট। আবার এমন দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা বাইরে থেকে দেখতে অত্যন্ত সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর হিসাবে দর্শনার্থীদের আগ্রহ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিগত সময়ে দর্শনার্থী কম থাকলেও বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন ঘুরতে আসে এখানে। পাশের পিতলগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা দেওয়ান আল মেহেদী বলেন, যেহেতু এটা স্থায়ী প্যাভিলিয়ন, তাই সারা বছর দর্শনার্থীদের ঘুরে দেখার সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। খিলক্ষেত থেকে ঘুরতে এসেছেন হাফিজুর রহমান বলেন, অনুরোধ করেও ভেতরে ঢুকতে পারিনি।

মধুখালী এলাকার বাসিন্দা মাহবুব আলম প্রিয় বলেন, ১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলা উদ্বোধনের ঘোষণা দিলেও রাজধানী থেকে যাতায়াতের জন্য একমাত্র ৩শ ফুট সড়ক দিয়ে যাতায়াতে অসুবিধায় পড়তে হবে। কারণ এখনো ওই সড়কটির কাজ চলমান। তা আগামী বছরেও শেষ হবে না। এ ছাড়া ঢাকা-বাইপাস সড়কের ৪ লেনে উন্নীতকরণও চলছে একই সময়ে। ফলে যাতায়াত ভোগান্তি থেকে যাবে। তাই কর্তৃপক্ষের এদিকে নজর দাবি করেন তিনি।