• ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ ঢাকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত নভেম্বর ১৪, ২০২৩, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ
আজ ঢাকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’

শীতকাল মানেই শুষ্ক আবহাওয়া। আর শুষ্ক আবহাওয়া মানেই ধূলা-বালির পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। এতে করে প্রতিনিয়তই বাড়ছে বায়ুদূষণের মাত্রা। এ অবস্থায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বায়ু জনগণের জন্য অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। তার থেকে ভারতের রাজধানীর দিল্লির অবস্থা আরও ভয়াবহ।

 

 

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) বায়ুদূষণের তালিকা প্রকাশ করেছে।

 

 

তালিকায় দেখা গেছে, ঢাকার স্কোর ১৭৯, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত। আর একিউআই স্কোর ৩৭৬ নিয়ে এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর।

 

 

এ ছাড়া ভারতের দিল্লি ৩৩৭ স্কোর নিয়ে রয়েছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তানের করাচি শহরের স্কোর ১৮১ এবং ১৮১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে ভারতের আরেক শহর কলকাতা। আবার একই স্কোর নিয়ে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ।

 

 

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

 

 

এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

 

 

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

 

 

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

 

 

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

 

 

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।